সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পটুয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে কিশোরকে অপহরণ। ইজতেমা ময়দানে নিহতের ঘটনায় জামায়াত আমিরের শোক জেলা জজের ড্রাইভার পরিচয়ে অবৈধভাবে জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীতে হত্যার উদ্দেশ্য সাংবাদিককে বেধরক মারধর থানায় মামলা। কসম পাচার কালে মূল হোতা আটক গলাচিপায় চেতনানাশক দ্রব্য ব্যবহার করায় মা-ছেলে অসুস্থ  গলাচিপায় পাচারের সময় ১৭ কচ্ছপসহ ব্যবসায়ী আটক লালমনিরহাটে আ.লীগ নেতা সুমন খান ও স্ত্রীর ব্যাংকে ২৩৭ কোটি টাকা, অর্থপাচার মামলা গলাচিপায় পুলিশের মধ্যস্থতায় আড়ৎদারের টাকা ফেরত দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ী গলাচিপায় জেলেদের মাঝে চাল বিতরন

ফিলিস্তিনি স্কুল ভেঙে দিল ইসরায়েলি বাহিনী

অনলাইন ডেক্স
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২২
  • ৬১ সময় দর্শন

পশ্চিম তীরের একটি ফিলিস্তিনি স্কুল ভেঙে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। একই সঙ্গে ওই এলাকায় বসবাসকৃত ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করে দিচ্ছে তারা। খবর আল-জাজিরার।

প্রতিবেদনে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, অধিকৃত পশ্চিম তীরের মাসাফার ইয়াত্তা অঞ্চলের বাসিন্দাদেরও জোরপূর্বক উৎখাত করছে ইসরায়েল।

এরই মধ্যে সেখানকার একটি সদ্য নির্মিত স্কুল ভেঙে দিয়েছে তারা।

স্থানীয়রা ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা আল-জাজিরাকে বলেছেন, বুধবার সকালে মাসাফার ইয়াত্তা অঞ্চলের ইসফি আল-ফারকা গ্রামে অভিযান চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় স্কুলটি ভেঙে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়।

স্থানীয় কাউন্সিলের প্রধান নিদাল ইউনিস বলেন, ‘ক্লাস চলাকালীন সময়ে স্কুলটি ভেঙে ফেলে তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভেতরেই ছিল। তারা শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বের করতে সাউন্ড বোমার ব্যবহার করে। ’

নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মতে, বুধবার স্কুলটির এক অংশ ধ্বংস করতে   রায় দেয় ইসরায়েলের সর্বোচ্চ আদালত।

স্কুল ভেঙে দেওয়া নিয়ে ইসরায়েল বাহিনী জানায়, এলাকাটি ফায়ারিং জোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। সেখানে অবৈধভাবে নির্মিত একটি ভবন ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

আর-জাজিরা বলছে, প্রাথমিক স্কুলটি মাত্র এক মাস আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। সবশেষ দুই সপ্তাহ ধরে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম চলছিল। স্কুলটিতে চারটি ভিন্ন গ্রামের ২২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত ছিল।

মানবাধিকার কর্মী ফাদি আল-উমর বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রোগ্রামের আওতায় অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক ডজনেরও বেশি স্কুল নির্মাণ করা হয়েছে। ভেঙে দেওয়া স্কুলটি এর মধ্যে একটি। ’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে বেশিরভাগ স্কুল তৈরি করা হয়েছে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ‘সি’ এলাকায়। এই এলাকার ৬০ শতাংশ ভূখণ্ড দখলদার ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

স্কুল ভেঙে দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনিদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। তারা বলছে, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত। ’

ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার সকালে এক বিবৃতিতে ধ্বংসযজ্ঞের নিন্দা করেছে এবং একে জঘন্য অপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছে। বিবৃতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলে, ‘শিক্ষাক্ষেত্রের বিরুদ্ধে দখলদারিত্বের ধারাবাহিক অপরাধের একটি সংযোজন এটি। আন্তর্জাতিক সনদ এবং আইনের তোয়াক্কা না করেই শিশু, ছাত্র, শিক্ষা কর্মী ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। তাদের এসব কার্যক্রম বিনামূল্যে শিক্ষার অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। ’

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পড়ুন এই বিভাগের আরও খবর

Chairman Md. Azadul Islam. CEO Md. Amir Hossain. Editor S, M, Shamim Ahmed. Managing Director Md. Lokman Mridha, office House # 43 ( Ground Flooor ) 47 Road No. 30, Mirpur, Dhaka Division - 1216

 

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71